বাংলাদেশ নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে দোদুল্যমান মন নিয়ে। ভোটের অপেক্ষায় মানুষের মাঝে উৎসাহ থাকলেও শঙ্কা, বিষাদ ও ক্রোধও বাসা বেঁধেছে। জুলাই আন্দোলনের তরুণ নেতা ও সম্ভাব্য সংসদ প্রার্থী ওসমান হাদির উপর হামলার ঘটনা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। মানুষের দাবি, হাদির হত্যাচেষ্টাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধের ১৯৭১ সালের ইতিহাসকে কেন্দ্র করে সমাজে দীর্ঘদিন ধরে বিভক্তি বিরাজ করছে। রাজনীতির ট্যাগিং ও দল-মতের দ্বন্দ্ব মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। আওয়ামী লীগ দীর্ঘ দুই দশক ধরে মুক্তিযুদ্ধকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে মর্যাদা ও গুরুত্ব হ্রাস করেছে। মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে গোষ্ঠীবাদী ইতিহাস প্রচলিত হওয়ায় সাধারণ মানুষের অভিজ্ঞতা ও ভিন্ন রাজনৈতিক গোষ্ঠীর অবদান ইতিহাসে আড়াল হয়ে গেছে।
লেখক বলেন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিস্তর আলাপ এবং গ্রহণযোগ্য বিতর্ক প্রয়োজন। ভারতের ভূমিকা, মুক্তিযুদ্ধ থেকে লাভ এবং জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য দলের অবস্থান নিয়ে সৎ আলোচনা করা আবশ্যক। বিচারহীনতা ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার ব্যর্থতা ইতিহাসের সঠিক মূল্যায়ন ও দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার পথে বাধা সৃষ্টি করেছে।
এমতাবস্থায় পাঠক এবং রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান, মুক্তিযুদ্ধকে ভুলে না গিয়ে দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে জাতির ঐক্যের মাধ্যমে সত্য এবং ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
